ব্যাডমিন্টন কোর্টে চুনের দাগ

এইযে দেখতেছো আব্বু এই জায়গাটা, এইখানে আমরা ব্যাডমিন্টন খেলতাম। আর ওইযে ছোট মাটির ঘরটা ওইটা ছিলো আমাদের ওয়াশরুম।
‘তোমরা এতোদূর যেতে শুশু করতে আব্বু?’
হ্যাঁ বাবা। খানিক হেসেই বলেন ফাহিম। ছেলেকে নিয়ে এই প্রথম তার গ্রামের বাড়ি আসা।

শিশুমন কী আর এতো অল্প প্রশ্নে থামে? ছোট্ট ফারাজ অনর্গল প্রশ্ন করেই যায়৷ ফাহিম একে একে উত্তর দিতে থাকে। উত্তর দেয়া বাবাদের দায়িত্ব। ফারাজকে ঘরে রেখে এসে ফাহিম নিজেই এবার এদিকটায় একা দাঁড়ায়। ফাহিমের চোখে ভাসতে থাকে সব দৃশ্য। একবার ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে নেটে পেচিয়ে পা মচকে গেছিলো ফাহিমের। দাদী ঘরোয়া টোটকা হিসেবে হলুদ চুন গরম করে মেখে দিয়েছিলেন। সেই বছর আর খেলেনি ফাহিম। রঙিন শৈশব বললেই আমরা যা মনে করি পুরোটাই ফাহিম পেয়েছে। জীবনের জন্য জীবিকার জন্য পাড়ি দিয়েছে গ্রামের গন্ডি,এরপর দেশের গন্ডি। এখনো জীবনে রঙ আছে তবুও এগুলো ওর মনে পড়েই। সব মানুষেরই পড়ে।

আসলে আমরা যে বলি জীবন রঙহীন কখনো কখনো ব্যাপারটা মোটেই ঠিক না। জীবন সবসময়ই রঙিন। কোনো কোনো রঙ আমাদের চোখে ধরা পড়ে, কোনোটা পড়ে না। ব্যাডমিন্টন কোর্টের দাগে দেয়া চুনের মতো ঠিক।

About The Author

Leave a Reply

Related Posts