শহর ভরেছে নতুন রঙে, নাগরিক আছে তার শ্বাসের সঙ্গে’ হঠাৎ করেই কেমন যেন আমাদের নাগরিক জীবনে কেমন একটা রঙিন ছোঁয়া লাগে এখন হাঁটলেই তাই না? দশক,যুগ ধরে দেখা চেনা শ্যাওলা ধরা দেয়ালগুলো হুট করেই যেন প্রাণ পেয়েছে মনে হয়। যেই দেয়াল কয়েকদিন আগেই শুধু একটা দেয়ালই ছিলো এখন মনে হয় সবার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। আগে শুধু হয়তো আমরা উৎসব, পার্বণে দেখতাম আলপনা বা রং তুলির কাজ। আর এখন সব জায়গায় রঙিন পরশ হয়ে আছে। গ্রাফিতি নতুন কিছু না; তবু আমরা যেন এবার গ্রাফিতিকে অন্য মাত্রায় দেখছি। কি উঠে আসেনি এই গ্রাফিতিতে? বিপ্লব,শিক্ষা, আগামীর কথা,স্লোগান,মিম, সহাবস্থান,সম্প্রীতি আরো কত কি! যেতে যেতে কোন গ্রাফিতি দেখে হয়তো অট্টহাসিতে মেতে ওঠে কোনো কিশোর-কিশোরী দল। আবার,নিজের দাবী দেখতে পেয়ে মনে মনে হ্যাঁ এটাই তো বলে কোন খেটে খাওয়া মানুষ।
তরুণদের এতসব বুদ্ধিদীপ্ত শিল্পকলা বা স্লোগানে হয়তো তাক লেগে যায় ষাটোর্ধ্ব কোনো মানুষের। মানুষ সবসময়ই তার নিজের কথার একটু প্রকাশ কোথাও দেখতে পেলে সাহস পায়,এগিয়ে যায়। গ্রাফিতি হয়তো আমাদের শুধু শৈল্পিক ছোঁয়াই দেয়নি,বরং দিয়েছে অনেক অনেক নতুন স্বপ্নও। বিশ্বাস এসেছে মানুষের মনে, “মনে যদি না থাকে ভয় হয় নাতো ইতি লেখায়, কবিতায় বারবার ফেরে গ্রাফিতি”