রুম নাম্বার চারশো পাঁচ

‘আমি যদি ফার্স্টক্লাস পাই,তাহলে রাকিব যা বলবে তাই করবো’
দেখ দেখ লেখাটা এখনো আছে…বলতে বলতে চোখেমুখে আনন্দের উচ্ছ্বাস নিয়ে সায়েমের দিকে তাকায় মেহেদী।

সায়েম,মেহেদী আর রাকিব সবাই একই ব্যাচের স্টুডেন্ট। ক্যাম্পাস ছেড়েছে প্রায় বছর ১৫ হয়। রিউনিয়নে এসেছে। রুমমেটও ছিলো ওরা।ক্যাম্পাস ছাড়ার পর একেকজন একেক সেক্টরে জবে ঢুকে পড়েছে। রাকিব তো দেশের বাইরেই চলে গেছে।

রাকিবটা থাকলে খুব ভালো হতো রে.. সায়েম বলে।

ওকে একটা ভিডিও কল কর না। দাঁড়া আমিই দিচ্ছি। ওর এখানে তো এখন গভীর রাত। ধুর তাতে কী! বলেই পকেট থেকে ফোন বের করেন রাকিবকে কল করে মেহেদী।
চার পাঁচটা রিং হতেই কল ধরে রাকিব। বেচারা ঘুম ঘুম চোখ ফুলে আছে।
কল ধরেই রাকিব, ‘কিরে এতো রাতে? কোনো ঝামেলা?’

পাশ থেকে ফ্রেমে মুখ ঢুকিয়ে দেয় সায়েম, ‘না স্যার সমস্যা না। ভাবলাম আপনি ঘুমাচ্ছেন আপনাকে একটু ডিস্টার্ব করি। গেস করতো আমরা কোথায় আছি’
বলে ক্যামেরাটা ঘুরিয়ে দেয়। রাকিব বুঝে যায় ওরা হলের রুমে।
‘তোরা ক্যাম্পাস গেছিস তাহলে! রিইউনিয়নটা মিস করলাম রে।’

মেহেদী ফোন কেড়ে নিয়ে বলে, ‘আর যাই বল তোকে ঘুম থেকে জাগালে যে রাগটা করতি সেটা পালটে গেছে এইটা ভেবেই ভালো লাগছে।’

সায়েম আবার ফ্রেমে এসে চল যেহেতু তিন কমান্ডো একসাথে হয়েছি রুমের জাতীয় সংগীতটা গেয়েই ফেল…

চল চল বলে সম্মতি দেয় রাকিব। তিন বন্ধু মিলে গান ধরে গলা ছেড়ে একসাথে..

‘রুম নাম্বার চারশো পাঁচ
উপরে ছাদ আর পাশে গাছ
ছাড়পোকা কামড়ায় তবু ভালো
এই রঙিন দেয়াল আর সাদা কাচ।”

About The Author

Leave a Reply

Related Posts